নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা জীবনের কোন মায়া করি না, আমাদের শহীদ ভাইদের পরিবারের সদস্যদের যখন দেখি তখন ভাবি আমরা বেঁচে আছি তাদের অধিকার আদায়ের জন্যে। আমরা জীবনের পরোয়া করি না। আমরা ভোট চাইতে আসিনাই আমরা এক নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছি
এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা অনেক আগেই জানিয়েছিলাম, গোপালগঞ্জে প্রোগ্রাম হবে কিন্তু সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না করার করনেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা কেন গোপালগঞ্জে গেলাম তা নিয়ে একটি পক্ষ প্রশ্ন করছে। আ. লীগ যদি মাথা উচু করার চেষ্টা করে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা আবার তাদের পরাস্ত করবে।
তিনি বলেন, বিগত সময় সাধারণ মানুষ, মাদ্রাসা ছাত্র -আলেমদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু ইসলাম পালনের কারণে অনেককে জুলুম করা হয়েছে। হিন্দু ভাইদের বলবো, আপনারা কোন বিশেষ দলের সম্পদ নয়, আপনারা বাংলাদেশের জনগন হিসেবে সমান অধিকার ভোগ করুন।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা যখনই সংস্কার করতে চাই তখন একটি পক্ষ সংখ্যার উপর নির্ভর করে ক্ষমতা চায়। এতোগুলা প্রাণ নেয়ার পরও আওয়ামী লীগের কোন অনুশোচনা নাই গোপালগঞ্জে বিপ্লবীদের উপর হামলার পর আমরা সিন্ধান্ত নিয়েছি, এদেশে আর আওয়ামী লীগের কোন অস্তিত্ত্ব থাকবে না। মুজিববাদের কবর রচনা হয়েছে।
এনসসিপির সিনিয়র যুগ আহবায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, জুলাই সনদ দিতে হবে, জুলাই ফাউন্ডেশন হতে শহীদ ও আহতদের সহযোগিতা করা হচ্ছে না। মূলত বর্তমান সরকার তাদেরকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার কোন দায়িত্ব পালন করছে না।
এই প্রথম মানিকগঞ্জে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কোন প্রোগ্রাম হলেও উৎসুক জনতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।