সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক গত ১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. আব্দুল্লাহ বিন শফিককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের ভাষ্যমতে, ওই ছাত্রী সিঙ্গাইরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীর মোবাইল নম্বরে ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে আপত্তিকর বার্তা এবং কু-প্রস্তাব পাঠাতেন। পরে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও এ ধরনের অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনায় আমার মেয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সে এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং চরম আতঙ্কে আছে। আমরা দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা সত্য না মিথ্যা বলব না। তবে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” এ কথা বলার পর তিনি সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য এই প্রতিবেদককে একাধিকবার অনুরোধ করেন।
সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, “অভিযোগটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”