মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে বসতবাড়ীর মাত্র একহাত জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে কৃষক মোজাফ্ফর হোসেন (৫৫) হত্যাকান্ডের পর দু-সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও প্রধান অভিযুক্ত সিংজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুর রহমান (৪৫) সহ কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সরেজমিন, নিহত মোজাফফর হোসেনের পুত্র মো. সালমান শাহ অভিযোগ করে বলেন, ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বৈলতলা এলাকায় আমাদের বাড়ির পশ্চিম পাশে প্রতিবেশীর বাড়ির পূর্বপ্রান্তে বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিত সিদ্ধান্ত মেনে সীমানা খুটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রতিবেশীর মেয়ের ঘরজামাই আব্দুর রহমান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসেবে দাপট দেখিয়ে সেই খুটি বারবার অমান্য করে আমাদের সীমান্তে ঢুকে নিজে নিজেই নতুন খুটি স্থাপন করে। যার প্রতিবাদ করায় আমাদের পরিবারসহ আশেপাশের অনেক নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সেইজন্য পুনরায় সার্ভেয়ার দিয়ে মাপামাপির সিদ্ধান্ত হয়। সেই লক্ষ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মাপঝোঁক করতে চাইলে পূর্বপরিকল্পনা করে আমার পিতা মোজাফ্ফর হোসেনের মাথায় সজোরে লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসী আব্দুর রহমান। দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত তার সাঙ্গপাঙ্গরা ১০/১১ জন মিলে আমার মা, ভাইসহ আমাদের উপর আক্রমণ করে। রক্তাক্ত আহত আব্বাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। আহত অন্যরা এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে, পরিপূর্ণ সুস্থ হয়নি সবাই।
সালমান শাহ আরো বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও একজন আসামিকেউ পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তাদেরকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘিওর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) চিন্ময় মন্ডল বলেন, অভিযুক্তরা অত্যন্ত ধুরন্ধর, তাই বারবার ওরা জায়গা বদল করছে, আব্দুর রহমানসহ আসামিদের গ্রেফতার করতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
এসব বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মোজাফফর হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে পরে তিনি মারা যান। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।