
সিঙ্গাইর প্রতিনিধি:
সিঙ্গাইরে আবাসিক ভবনের নিচে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন। এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবস্থা পরিচিতি পেয়েছে ‘মিনি তেল পাম্প’ নামে। এসব পাম্পে অবৈধ উপায়ে ভেজাল তেল সরবরাহে নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ছে।
প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মী টাকার বিনিময়ে ভূয়া কাগজপত্র সরবরাহ করে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের পাম্প তৈরিতে সহায়তা করছেন। প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকি তৈরি হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল বাজারের পাশে “মেসার্স কাজী ট্রেডার্স” নামে রয়েছে এমনি একটি মিনি পাম্প। একটি আবাসিক ভবনের নিচে প্লাস্টিকের কন্টেইনারে জ্বালানি তেল মজুর করে মানিকনগর-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক সড়কের পাশে ছোট্ট দোকানের ভেতরে দুটি ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে ব্যবসা চালানো হচ্ছে। এধরণের পাম্পে ভেজাল তেল সরবরাহের যেমন আশঙ্কা আছে, তেমনি আছে নিরাপত্তাঝুঁকিও। নিরাপত্তার কারণে ২০১৫ সাল থেকে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে
কাজী ট্রেডার্সের মালিক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও ইউনিয়ন পরিষদের লাইসেন্স নিয়েছি, বাকি কাগজপত্র ফায়ার সার্ভিস সিঙ্গাইরের সাবেক স্টেশন অফিসার মো. ইস্তিয়াক হোসেন কাছে ১৪ হাজার টাকা কন্টাকে বানাতে দিয়েছি। আর আমি সবকিছু ইউটিউব দেখে শিখেছি।
ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মহিবুর রহমান বলেন, ডিসি অফিসের অনাপত্তিপত্র ও বিস্ফোরক পরিদপ্তর লাইসেন্স ছাড়া শুধু ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি পত্র দিয়ে তেলের পাম্প চালানোর অনুমতি নেই। আমরা পরিদর্শনে যাবো এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। জেলা প্রশাসক ও বিস্ফোরক অনুমোদন ছাড়া কোন পাম্প চলতে পারে না। পরিদর্শন করে অসংগতি পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।