
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঝলসে গেছে কৃষকের প্রায় ৬০ বিঘা জমির ধান। সারা বছরের খোরাক নষ্ট হওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি চকে তিন ফসলি জমির উপর টি এইচ বি ইটভাটার ছাড়া বিষাক্ত গ্যাসে ওই গ্রামের শওকত হোসেন, মো. সিদ্দিক, আবু সাঈদ ও বসর উদ্দিনের ৪ টি প্রজেক্ট এ ১৫ জন কৃষকের প্রায় ৬০ বিঘা জমির ধান জলসে লাল হয়ে গেছে। কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে ভাটার চুল্লির আগুন বন্ধ করে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও প্রজেক্ট মালিক শওকত মিয়া জানান, তার ২০ বিঘা জমির ধান ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঝলসে গেছে। তিনি বলেন, “আমার বছরের সব পরিশ্রম শেষ। এখন আমি কীভাবে চলবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
কৃষক সিকান্দার আলী বলেন, দুই বছর আগেও একবার ধান পুড়িয়ে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলো। এই ইটভাটাগুলো আমাদের জন্য অভিশাপ। আমরা ক্ষতিপূরণসহ অবৈধ ভাটা বন্ধ করার দাবি করেন।
ক্ষতিগ্রস্তরা আরো জানান, হাতনী চকের পাশে অবস্থিত একটি ইটভাটা থেকে নির্গত হওয়া গরম গ্যাস ধানগাছের কচি অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে, ফলে জমির ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আর.এ.সি ভাটার ম্যানেজার ময়নুল হক গ্যাসে ঝলসানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের ভাটার গ্যাসে ধানের ক্ষতি হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। এটা কোনো প্রাকৃতিক রোগ বা আবহাওয়াজনিত কারণে হয়ে থাকতে পারে।”
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কৃষি কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। ইটভাটার গ্যাসের কারণে ধানের ক্ষতি হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।