মারুফ হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জামায়াতের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী ১৩ জনের নাম সহ অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এবং হামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত জামায়াতের নেতাকর্মীরা হলেন,ঈশ্বরপুর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আসলাম (২৬), খলাপাড়া এলাকার ইসলাম সরকারের ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৩৫), খলাপাড়া এলাকার জব্বার সরকারের ছেলে মোবারক সরকার (২৬), শহিদুল্লাহর ছেলে কাজী আবদুল্লাহ (২৪) এবং দক্ষিণ খলাপাড়া এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আজিজুল হক (৪১)।
এ ঘটনায় শুক্রবার ( ১৪ ই মার্চ ) সকালে বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটার সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আরো ৩০ জন অজ্ঞাতনামায়আ সামি করে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, উপজেলাধীন দক্ষিণ খলাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ আপেল(৩০), মো. আব্দুল আউয়ালের ছেলে নুর ইসলাম নুরী (৪৫), মধ্য খোলাপাড়া এলাকার মো. রাজ্জাকের ছেলে নজরুল মোল্লা(৪০), নজরুল মোল্লার ছেলে সৌরভ (৩০), মো. কাসেমের ছেলে মো. আবুল হোসেন ( ৪০), শফিউদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (৪২), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৬), একই পরিবারের মোহাম্মদ সাইদুর রহমান(৪৩), মোহাম্মদ লুৎফরের ছেলে কাইয়ুম (২৩), একই পরিবারের আব্দুল লতিফ (২৭), বেলায়েত হোসেনের ছেলে মোঃ বাশার (৩২), মোহাম্মদ কেনার ছেলে মোঃ হান্নান (২৩) কালীগঞ্জ পৌরসভার চৌদ্দরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ বুরুজের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল(৩২) অজ্ঞাতনামায় আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা জুমার নামাজ আদায় করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে থেকে উপজেলা জামায়াতে ইসলামের নেতৃত্বে বাহাদুরশাদী ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভা সড়ক ও কালীগঞ্জ থানা গেট সড়ক হয়ে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের ইফতার মাহফিলে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুন। অন্যথায় কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আরো কঠোর কর্মসূচিতে অবস্থান নিবে। তাছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাহমুদ হাসান।
তিনি বলেন, বাহাদুরসাদীতে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে এরকম কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।