মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার মনপুরা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ১৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাম্মৎ হাসনা বেগমের ওপর এই নারকীয় হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষিকা হাসনা বেগম তার স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা তার পথরোধ করে। অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগীর বাড়ির প্রবেশপথে অবৈধভাবে একটি ঘর তুলে হামলাকারীরা আগে থেকেই মারধরের উদ্দেশ্যে ওঁৎ পেতে ছিল।
হামলাকারীরা হলেন হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামীম (পিতা: ফরিদ উদ্দিন), সম্রাট (পিতা: খোরশেদ আলম), নেজাম (পিতা: আলমগীর মোল্লা), মোহাজেরা (পিতা: খোরশেদ আলম) এবং আকলিমা (স্বামী: সম্রাট মিলন)-সহ আরও কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা শিক্ষিকাকে এলোপাতাড়ি চড়, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তার ডাকচিৎকার শুনে শ্বশুর এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় শিক্ষিকার সঙ্গে থাকা তার ছোট সন্তানরাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত শিক্ষিকার শরীরে একাধিক ফোলা জখম দেখা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষিকার স্বামী গণমাধ্যমকে বলেন, "জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার স্ত্রীর ওপর এই নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে। আমি হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে কঠোর বিচার দাবি করছি।" তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মনপুরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, আহত শিক্ষিকার মরহুম পিতা আবুল কালাম (আবু মাঝি) মনপুরা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ছিলেন।