মো. কামরুল হোসেন সুমন, মনপুরা (ভোলা):
ভোলার মনপুরা উপজেলার বাংলাবাজারের সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ সবজির দাম সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে স্বস্তি রয়েছে।
প্রতি বছরই এ সময়ে সবজির চাহিদা বাড়ে এবং এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামও বেড়ে যায়। তবে এ বছর দামের প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে, যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে চাপে ফেলেছে।
গত বৃহস্পতিবার, রোববার ও সোমবার সরেজমিনে মনপুরার বাংলাবাজার ঘুরে দেখা যায়, চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং পেঁপে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, "আমাদের খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হয়, যার ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।"
অন্যদিকে, মুদি দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও স্বস্তি দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, লবণ, চিনি, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, পাঁচফোড়ন, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল ও সাবানসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আছে।
মুদি বিক্রেতারা জানান, বাজারে পণ্যের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। ফলে সংকট না থাকায় দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে।
তবে বাজার ঘুরে একটি ভিন্ন চিত্রও চোখে পড়েছে। দেখা গেছে, মনপুরার স্থানীয় খামারিরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে সবজি বিক্রি করছেন এবং দোকানদারদের তুলনায় কিছুটা কম দাম রাখছেন।
বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রেতারা।