আতিকুর রহমান
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ প্রায় ৯ মাস ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য সেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, ভাতাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ কিংবা সরকার প্রদত্ত যেকোনো সেবা—সব কিছুই এখন থমকে আছে।
চান্দহরের এক কৃষক বলেন, “আমার জমির ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন, ৩ মাস ধরে ঘুরছি। কেউ দায় নিচ্ছে না। পরিষদে গেলে শুধু তালা আর নীরবতা।”
স্থানীয় প্রবীণ একজন শিক্ষকের মন্তব্য, “চান্দহর ইউনিয়নের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। এতদিন সহ্য করছে বলেই পরিষদ অক্ষত আছে। অন্য কোথাও হলে মানুষ ক্ষোভে বিস্ফোরিত হতো।”
জনগণের এ দুঃখ দুর্দশা দেখেও যাঁরা নিজেদের নেতা দাবি করেন, তাঁদের নিশ্চুপ অবস্থান প্রমাণ করে—যোগ্য নেতৃত্বের অভাবই আজ এই দুরবস্থার প্রধান কারণ। দলের নাম ব্যবহার করে এলাকায় দাপট থাকলেও, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানবিকতা ও সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে না কারো মধ্যেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মতো একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের এ ধরনের দ্বন্দ্ব শুধু দলীয় ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং গণমানুষের আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে।
তবে এখনো সময় আছে। সঠিক নেতৃত্ব ও উদ্যোগ থাকলে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুতই চালু করা সম্ভব। দলীয় সংকীর্ণতা ভুলে সাধারণ মানুষের স্বার্থে পদক্ষেপ গ্রহণ করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।