বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক দালালদের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারানোর অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংখ্যালঘু পরিবারের এক সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মৌখিক বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী সুদেব কুমার নিজে।
সুদেব তার বক্তব্যে বলেন, কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যাক্তি তাকে কাজের কথা বলে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সৌদি আরব নিয়ে যান। তার সাথে ৪লাখ টাকার বিনিময় ২বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিটসহ (আকামা) কাজ দেয়ার কথা হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার ৩মাস পর ওই দালাল আকামা (পারমিট) নবায়ন না করে তাকে (সুদেব) রেখে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে সুদেবের কাজকর্ম সম্পর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ তার কাছে আকামা (ওয়ার্ক পারমিট) ছিল না। অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত শুরু করেন সুদেব। গ্রামের বাড়ি থেকে ২দফায় সৌদি আরবে টাকা পাঠান তার পরিবার। উপায়ান্তর না পেয়ে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে এয়ার টিকেট কেটে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় স্থানীয়ভাবে সালিশ মিমাংসার ব্যবস্থ করা হলেও তা মানছেন না আলমগীর। অনেকটা ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন বলেন, আমি তাকে বিদেশ পাঠিয়েছি। চুক্তির অর্ধেক টাকা দেশে থেকে পরিশোধ করেছে। বাকি টাকা সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করে সে পরিশোধ করছে। একই কম্পানীতে আমাদের আরও লোক বর্তমানে কাজ করতেছে তারা সাক্ষি আছে। ওনাকে কাজ দেয়া হয়েছে। উনি কাজ না করে চলে আসছে।